আজ || মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে দারোগার মাথা ফাটানোর ঘটনায় ১৬ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ       গোপালপুরে দারোগার মাথা ফাটিয়েছে সন্ত্রাসীরা; গ্রেফতার ১০       গোপালপুরে প্রধানমন্ত্রীর ফেয়ার প্রাইজের চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ       গোপালপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেনের পদত্যাগ       উত্তর টাঙ্গাইল নূরানী মাদরাসার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান       গোপালপুরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন       গোপালপুরে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত       গোপালপুরে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় শিশু ও নারী নিহত       গোপালপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান       গোপালপুরে জাতীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির সংবর্ধিত    
 


জমিখাদকের ছোঁবলে প্রাণের বৈরাণ নদী এখন মৃত প্রায়

মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম :

টাঙ্গাইলের গোপালপুরের পৌরশহর ঘেষে বয়ে যাওয়া প্রাণের বৈরাণ নদী দখলে থেমে নেই দখলদারদের দখল উৎসব। শুস্কমৌসুমে বীরদর্পে নদীর মাটি দিয়েই নদী ভরাট করে, সুবিধামত দালানকোঠা বানিয়ে ব্যবহার করেছেন নদী পাড়ের প্রভাবশালী জমির মালিকরা। পৌরসভা, ভূমি অফিস ও স্থানীয় প্রশাসনের সামনে প্রকাশ্যে দিনের পর দিন নদী ভরাট করায় এক কালের স্রোতেস্বিনী বৈরাণ এখন প্রায় ড্রেনে পরিণত হয়েছে।

বৈরাণ নদী ঝিনাই নদীর একটি শাখা। টাঙ্গাইলের মধুপুর, ধনবাড়ী, গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলায় প্রবাহিত এই বৈরাণ নদী পথে এক সময় উত্তরবঙ্গের সাথে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে সোনালী আঁশ বলে খ্যাত পাট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বৈরাণের তীরে গড়ে উঠে আজকের গোপালপুর শহর। আনারসের রাজধানী মধুপুর থেকে আনারস ভর্তি পাল তোলা নৌকায় আনারস পৌঁছে যেত উত্তরবঙ্গে।

বৈরাণ নদী পাড়ে গোপালপুর শহর গড়ে উঠায়, নদী পাড়ের জমির দাম দিন দিন বেড়ে গিয়েছে। ফলে নদী ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি করছে কিছু অসাধু জমিখাদকরা। পৌর কার্যালয় দক্ষিণে, শহরের কোনাবাড়ী হাটের পশ্চিমে এবং নন্দনপুর কাঁচারীবাড়ী এলাকায় বর্তমানে নদী ভরাটের প্রবণতা বেশী। ভাটি অঞ্চলের কৃষকরা জানান, বৈরাণের শহর অংশ ভরাটের কারনে বর্ষাকালে নদীর ভাটি অংশে দেখা দেয় ভাঙ্গন। ভাঙ্গনে বিলীন হয় আবাদী জমি। আমনের মৌসুমে ফসল ডুবে যায়।

সম্প্রতি বৈরাণ নদী দখলমুক্ত করার লক্ষে ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন’ গোপালপুর শাখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করলে, নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা শারমিন নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে খুবই দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও, আজও প্রশাসন দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।

বৈরাণ নদী দখল নিয়ে প্রাবীণ শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তী বলেন, এই বৈরাণ নদী আমাদের প্রাণ এবং আর্শিবাদ। শহরতলীতে বিশুদ্ধ নিশ্বাস নেয়ার একমাত্র স্থান। কিন্তু দখলদারদের কারনে প্রাণের বৈরাণ এখন অনেকটা মৃত। ভবিষ্যত প্রজন্ম বিশ্বাসই করবেনা এই নদীতে এক কালে পাল তোলা নৌকা চলত। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি, দ্রুততার সাথে নদী দখলমুক্ত করে নদীর প্রাণ ফিরে দেয়ার।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!